সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং, টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার, এবং সকালের অভ্যন্তর মোবাইল ব্যবহারে সৃষ্ট ক্ষতি: নিজের স্বাস্থ্যের উপর ১০টি প্রভাব

 

সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং, টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার, এবং সকালের অভ্যন্তর মোবাইল ব্যবহারে সৃষ্ট ক্ষতি: নিজের স্বাস্থ্যের উপর ১০টি প্রভাব


সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলি আমাদের জীবনে একটি অমিল অংশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এটি সাধারনত যোগাযোগ থেকে পেশাদার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আসতে পারে, কিন্তু এটি সময়ের সাথে আমরা অতিরিক্ত সময় কাটাতে পারি যা অনাবশ্যক। অপ্রয়োজনে ঘড়ির পর ঘড়ি কাটতে থাকলেও আমরা এসব মাধ্যমের অনুভূতির পেছনে থাকি। যখন সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং নিরীহ হয়ে আসে, তখন এর মাধ্যমে আমাদের মানসিক অবস্থা উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে। বিভিন্ন গবেষণা দেখায় যে, মাত্রাতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং কিছু উদ্বেগজনক প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে কিছু সমস্যা এবং তার সমাধানের সূচক আঙ্গুল দেওয়া হয়েছে

নিজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং এর ফলে আপনি যে ৪টি ক্ষতি  করছেন

১. হারিয়ে যাওয়ার ভয়


যখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক থেকে বের হয়ে গিয়ে মনে হয় কিছু মিস হয়েছে, তখন এটার একটি কারণ হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং এর অতিরিক্ত ব্যবহার। একটি গবেষণা অনুসারে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যের সাফল্য, উচ্ছ্বাস, আনন্দের ছবি দেখে মনে হয় মানসিক অবস্থা ভরা যায় এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হলেও সেগুলি আপনার সৃষ্টি করা ভাবটি মূলত একটি সুনির্বাচিত দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষের আসল চেহারা পোস্টে পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় না।

২. নিজেকে অহৈতুক বোধ


নিজেকে তুচ্ছজ্ঞানে পৌঁছানোর একটি মৌলিক ঝুঁকি হলো অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণাপত্রে একটি অধ্যয়নে জানানো হয়েছে যে, যারা অনলাইনে প্রখ্যাত বা আকর্ষণীয়, তাদের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে নিজের আত্মমর্যাদা কমাতে। ঈর্ষা বা বিরক্তির অনুভূতির কারণে এটি নিজের ভেতরে অন্যান্য অসন্তোষ বা অসুস্থতা বৃদ্ধি দেতে পারে। এই কারণে, নিজেকে মূল্য দেওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাস্তবতার সঠিক উপস্থাপন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. আবদ্ধতা চক্র

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপগুলি ইনষ্টল করতে হলে মন্তব্য যে, এগুলি আমাদের আকৃষ্ট হতে পারে এবং এটি একটি নেশাদ্রব্যের মতো হতে পারে। এই ওয়েবসাইটগুলি বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মানবিক সম্পর্ক, একাগ্রতা, উৎপাদনশীলতা এবং ঘুমে ব্যতিক্রমশীল হতে হবে। তবে, এই সম্ভাবনার সাথে সাথে একটি ডোপামিন চক্র সৃষ্টি হতে পারে, যা মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং এর দিকে নিয়ে যায় এবং সম্পর্ক, একাগ্রতা, উৎপাদনশীলতা এবং ঘুমে ক্ষতি করে।

৪. সংযুক্তির দুনিয়ায় একাকিত্ব


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি অবস্থানের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং করলেও, ব্যবহারকারী নিজেকে সামাজিক জগত থেকে আলাদা করতে পারেন। এটি মানবিক সংবাদে সবার সাথে সরাসরি যোগাযোগ কমে যাওয়ার ফলে একাকিত্ব, দূরবর্তী হওয়া বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে। একজন সুস্থ সামাজিক জীবন বজায় রাখতে ডিজিটাল এবং অফলাইন কার্যক্রমের সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ, এবং সরাসরি যোগাযোগ কার্যকলাপ নিজের ভেতরে আনন্দ পরিপূর্ণতা নিয়ে আসতে পারে।

মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কীভাবে?

মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু ছোট সাধারণ অভ্যাস প্রয়োজন।

Ø  প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সীমিত করুন এবং এটি অমিলের সঙ্গে মেলাতে হবে। এটি স্বতন্ত্র বিচার নিতে সাহায্য করতে পারে এবং মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং থেকে বের হতে সাহায্য করতে পারে

Ø  দ্বিতীয়ত, বৈচিত্র্যময় এবং শিক্ষামূলক কনটেন্টে মৌলিক এবং বিনোদনমূলক সময় ব্যয় করুন। অধ্যয়ন, উদ্যোগ, বা শিখতে অনুপ্রাণিত হোন।

Ø  তৃতীয়ত, অফলাইন কার্যকলাপে আক্রমণ করুন এবং সমাজে সক্রিয় ভূমিকায় অংশ নিন। সামাজিক সংবাদ, আসন্ন কার্যক্রম অথবা সাধারণ কৌশল শিখতে অংশ নিন

Ø চতুর্থত, প্রাকৃতিক সম্পর্কে যান এবং আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবকে সময় দিন। সামাজিক পরিবারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং এটি আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

 টয়লেটে মোবাইলফোন ব্যবহার: নিজের স্বাস্থ্যের ৬টি প্রভাব


টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার করা নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ফোনের সহায়ে টয়লেটে বসে থাকতে গুলি মোবাইল ফোনের ব্যবহারের অসুস্থ প্রভাবের কারণে সাবধান থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য নিম্নলিখিত ছয়টি ঝুঁকি তৈরি করতে পারেন:

১. মেরুদণ্ড এবং পার্শ্ববর্তী পেশির ক্ষেত্রে চাপ

টয়লেটে বসে থাকার সময়, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সংকোচনীয় এবং বেশি দুটি হাঁটুর উপর কোনো চোখ পড়ানো হয়। এই পদক্ষেপে দুইটি হাঁটু এবং পার্শ্ববর্তী পেশীগুলি একটি অস্বাস্থ্যকর চাপ অনুভব করতে পারে। ভিডিও দেখার সময়, ব্যক্তি সচেতন না হওয়ার জন্য অতিক্রমণশীল হয় এবং এটি মোবাইল ফোনের ব্যবহারের দুর্দান্ত উদাহরণ। এই প্রক্রিয়াটি অপ্রয়োজনীয় বসবাসের জন্য হাস্যরসের মধ্যে বিপর্যয় হতে পারে এবং মেরুদণ্ড এবং পার্শ্ববর্তী পেশিগুলির মধ্যে চাপ তৈরি হতে পারে। এই প্রথম সমস্যাটি আগতি না দেয়া হলেও এটি প্রগতি করতে থাকতে পারে এবং প্রস্তুতি হতে পারে মৃদু বা তীক্ষ্ণ ব্যথা, কাঁধ এবং পিঠে আঘাত করতে পারে।

২.মলদ্বারের উপর চাপ থেকে পাইলস হতে পারে

টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে একই স্থানে অধিক সময় বসে থাকতে, মলদ্বারের শিরা উপরে চাপ বৃদ্ধি পায়। এটি সহিত দেখা যেতে পারে পাইলসের মতো সমস্যা। চিকিত্সকরা এটি হেমরয়েড বলে বুঝায়, অথবা বাংলায় "অর্শ" পাইলস ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে নিচে নামতে থাকে, এবং পা-পাঁজর পোষাকের সঙ্গে তুলনা করলে, , , এবং ১১ গড়ির জায়গায় তিনটি রক্তের শিরা যোগাযোগ করতে কঠিন হয়ে চাপ অনুভব করতে পারে, এবং এটি ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকে।

৩.পায়ে ঝিঁঝিঁ ব্যথা লাগা


পায়ে ঝিঁঝিঁ লাগা সংক্ষেপে, টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে হলে প্রায় সময়ের এক বৃষ্টির মতো পায়ে ঝিঁঝিঁ আসতে শুরু হতে পারে। এটি মোবাইল ব্যবহারের কারণে, যেখানে মানসিক মনোবল থাকতে পারে না এবং দীর্ঘক্ষণ একই দলিলে বসে থাকার ফলে পায়ে রক্তের সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। এটি পায়ে ভীষণ ক্ষতিকর হতে পারে এবং পরে উঠতে সমস্যা হতে পারে।

৪.জীবাণু সংক্রমণ

জীবাণু সংক্রমণ সম্বন্ধে টয়লেটে এবং মোবাইলফোনে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। টয়লেটে থাকতে রাজ্যের বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, এবং জীবাণু থাকতে পারে, যা দ্বারা মোবাইলফোনে বা অন্য সাধারণ সাথে মিলে সম্ভাবনা থাকে। টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার সময়ে, মোবাইলফোনে জীবাণু বা অগুনতি সংক্রমণের জন্য আরও সুযোগ তৈরি হতে পারে। তাই, নিজের সুরক্ষার জন্য নিয়মিতভাবে মোবাইলফোন স্যানিটাইজ করা জরুরি।

৫.ঝাপসা দৃষ্টি এবং চোখের অতিরিক্ত সমস্যা

ঝাপসা দৃষ্টি এবং চোখের অতিরিক্ত সমস্যা এসে যায়। দীর্ঘ সময় মোবাইলফোনের পর্দার দিকে তাকানো চোখে সমস্যা হতে পারে, কারণ মোবাইলফোনের পর্দা থেকে আসা নীল আলো চোখ এবং মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্বাভাবিকভাবে টয়লেটে যেতে পারে মোবাইলফোন ব্যবহারের কথা নয়, এবং তা মানলে সময় চোখের বিশ্রাম পাবেন। কিন্তু টয়লেটে গিয়েও মোবাইলফোন ব্যবহার করলে চোখ এবং সেই বিশ্রামটুকু পাবে না। কারণে দেখতে পাবেন, টয়লেট থেকে বেরোলে সব ঝাপসা লাগতে পারে। এছাড়া টয়লেটে সাধারণত আলো থাকে অল্প। এমন আলোতে মোবাইলফোন ব্যবহার চোখের জন্য ভীষণ ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৬.ঘুমের সমস্যা

অনেকেই রাতে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যান, এবং সেই সময়ে মোবাইলফোন ব্যবহার করতে পছন্দ করে। হ্যাঁ, টয়লেট সারতে কারও কারও একটু বেশি সময় লাগতে পারে। এই প্রয়োজনে সময় কাটানোর জন্য ঘুম থেকে উঠে চোখে মোবাইলফোনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না হোক বলে বলা হচ্ছে। কারণ, মোবাইলফোনের পর্দার আলো চোখ থেকে ঘুম কেড়ে নেয় এবং মাঝরাতে একবার ঘুম ছুটে গেলে আবার ফিরে আনা বেশ কঠিন হতে পারে। ব্যাঘাত স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

ঘুম থেকে উঠেই হাতে মোবাইল তুলে নিচ্ছেন? সকালের এই অভ্যাস ডেকে আনছে বড় বিপদ

এই অভ্যাসের পরিণামে শরীরে প্রভাব ফেলছে বিভিন্ন ক্ষতি। সকালের এই সময়ে ফোন দেখতে সময় কেটে যাওয়ার ফলে, চোখ শরীরের অবস্থা ভাল হতে পারে না। এটি শোকরূপ তন্তুগতি এবং মাস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে এছাড়াও, প্রচুর সময় মোবাইলের চোখে দৃষ্টি দিতে সত্ত্বরতা বাড়াতে পারে, যা সবাধীনভাবে কাজে অসুবিধা তৈরি করতে পারে।

এই কারণে এই অভ্যাসটি মোচনো স্বাস্থ্য এবং সম্পূর্ণ দিনটির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Ø সকালে চোখ না ধুয়ে ফোন ঘাঁটা একদমই উচিত নয়। ফোনের নীল আলো চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রশ্মি চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এবং সারা দিন মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

Ø চোখের ক্ষতি হলে কাজের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঘাত হতে পারে। সকালে উঠেই কাজের তালিকা বা সামাজিক মাধ্যমে খবর পড়া, এটি মানসিক স্থিতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে না, বরং অস্থিরতা বাড়িয়ে দেয়। কাজের প্রতি মন দিতে এটি অকার্যকর।

Ø সকালে উঠেই মোবাইলে প্রাপ্ত খবরগুলি মানসিক চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সকাল সকাল এই চাপের মধ্যে দিনটি শুরু হলে তার চিন্তা শেষ হবে না, যা পুরো দিনও মাথায় চলতে থাকতে পারে।

Ø ঘুম থেকে উঠতেই ফোন ব্যবহারের অভ্যন্তরে একটি অভ্যন্তরীণ সংস্কার ফর্মও প্রভাবিত হতে পারে। এই কারণে চিকিৎসকরা রাতে ঘুমে যাওয়ার আগে এবং সকালে উঠেই ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই অভ্যন্তরীণ প্রথা স্মৃতিশক্তির উপরও প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

শেষে বলতে পারি যে, শখ এবং আনন্দের উদ্যোগ নিন। বই পড়া, সিনেমা দেখা, নাটক দেখা বা যেকোনো আপনার পছন্দের শখে ডুবুন। এই ক্রিয়াগুলি আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রলিং থেকে নিজেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে পারে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post