দাম্পত্য জীবনে সুবর্ণ ফলাফল: পুরুষদের শারীরিক সঙ্গমে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর উপকারী পরামর্শ জেনে নিন!

 



পুরুষরা অতিসত্তর যৌন শক্তি এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উপায় খোঁজছেন। শারীরিক মিলনে সঙ্গীকে সুখ দেওয়া এবং সঙ্গমের মেয়াদ বাড়ানোটি হল মূল লক্ষ্য। তবে, যৌন সমস্যার জেরে পুরুষরা প্রায় সময় মানসিকভাবে চূর্ণ হতে পারে।কর্মব্যস্ত জীবন, জটিল খাদ্যাভ্যাস, এবং নানান অসুখের কারণে যৌনতা জীবন ক্রমশঃ ব্যহত হচ্ছে এবং প্রাত্যহিক জীবন থেকে সরে যাচ্ছে যৌনতার ইচ্ছা।মনে রাখতে হবে, হৃদয়ের জন্য ভাল সমাধান যা যৌন স্বাস্থ্যকেও উপযুক্ত করে তোলে।শরীরচর্চা ছাড়াও নিয়মিত যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে কিছু খাবারও।তাছাড়া, নিয়মিত যৌন ক্রিয়া বৃদ্ধি করতে কিছু খাবার ও মূলধারাও মূল্যবান ভূমিকা পালন করতে পারে।অনেকেই হয়ত জানেন না – প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে যৌন স্বাস্থ্য সমস্যার অনেক সমাধান।এই সহজ টিপস মেনে চললে সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করতে সহায়ক হতে পারে।

একটি সুস্থ যৌন জীবন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই এমন কিছু উপায় আছে যা আপনার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

পুরুষের সেক্সে বৃদ্ধির কার্যকর উপায় সমুহঃ

১। প্রাকৃতিক খাবার তালিকা

ক. মধু


মধু হলো একটি প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট যা শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি যৌন কার্যকলাপের সময় স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মধু রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, এবং এর ফলে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাতে সাহায্য করতে পারে।মধুতে থাকা ভিটামিন বি এবং সি, সাথে পটাসিয়াম এবং অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধি রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি মধুতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, যা মানসিক চাপ উদ্বেগ কমিয়ে মেজাজ ভালো রাখে এবং যৌন ইচ্ছা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

খ. কালোজিরা

কালোজিরা বা কালি জিরা হলো সবুজ রংযুক্ত জিরা, এবং এটি বিভিন্ন খাদ্যে একটি স্বাদমূলক গুণকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কালোজিরা বিশেষভাবে আমাদের রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। কালোজিরার মধ্যে জিংক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সাইলেনিয়াম, ভিটামিন বি- .স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণের জন্য হতে পারে, এবং এটি মৌলিকভাবে কালোজিরার খাওয়া দ্বারা সমাধান হয়না। সময়ের সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর নিয়মিত খাদ্যের মাধ্যমে শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

গ. স্ট্রবেরি


সেক্সে বৃদ্ধির খাবারে স্ট্রবেরি অত্যন্ত উপকারী। এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন উৎপাদন করে এবং শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরি একটি কম ক্যালোরি ফল, যা স্বাস্থ্যকর ওজন এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক শর্করা প্রদান করে, যা শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে এবং যৌন কার্যকলাপের সময় স্ট্যামিনা বাড়াতে পারে। স্ট্রবেরির মিষ্টি সুবাস লাল রঙ রোমান্টিকতা বাড়িয়ে দেয়।

ঘ. কলা


কলা একটি উত্তেজক খাবার হিসেবে পরিচিত যা সেক্সে বৃদ্ধির জন্য উপকারী হতে পারে। কলায় ভিটামিন বি৬ পাওয়া যা হরমোন উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়েই সেক্সুয়াল ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি করতে টেস্টোস্টেরন এবং অন্যান্য হরমোনগুলির প্রয়োজন হয়।কলায় প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং এতে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা সেরোটোনিন উৎপাদনকে উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত রাখে এবং যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি করে।

ঙ. অ্যাভোকাডো

সেক্সে উন্নতির জন্য এভোকাডো একটি উত্তেজক খাবার হিসেবে পরিচিত। এতে ভিটামিন থাকে, একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং শরীরের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সাথে যৌন ক্রিয়াকলাপের অনুভূতি রোমান্টিকতা বাড়াতে পারে।অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন বি পুরুষদের শুক্রাণু সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এভোকাডো একটি সুস্থ যৌন জীবনের উপহার হতে পারে।

চ. তরমুজ


তরমুজটি একটি বৃদ্ধির খাবার হিসেবে পরিচিত। এতে অধিক পরিমানে জল থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। যৌন কার্যকলাপের সময় তরমুজ ডিহাইড্রেশন বা অস্বস্তি সম্পর্কিত সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে, যা যৌন ফাংশনকে সুপ্রভাবিত করতে সাহায্য করে।তরমুজে ক্যালোরি তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং এটি একটি সুষম খাদ্য। এটি স্বাস্থ্যকর ওজন সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার মাধ্যমে যৌন ফাংশনের উন্নতি ঘটায়। তরমুজের সতেজ প্রকৃতি এবং মিষ্টি স্বাদ রোমান্টিকতা বাড়িয়ে তোলতে পারে। সঙ্গীর সাথে তরমুজ ভাগ করা হলে অভিজ্ঞতা ঘনিষ্ঠতা এবং আকাঙ্খার সামগ্রিক অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

ছ. রসুন


রসুন একটি উত্কৃষ্ট যৌন বুস্টার খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা সেলেনিয়াম মানব শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনকে সহজ করে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। এটি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর লক্ষ্যে কার্যকর।রসুন শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং সেক্স ড্রাইভ বাড়ানোতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে আপনি অনেক সময় ধরে ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলি উপভোগ করতে পারবেন। আপনার যৌন জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

জ. সালমন মাছ


সেক্সে বৃদ্ধির জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার হলো সালমন মাছ। এই মাছে ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস থাকে, বিশেষভাবে EPA (Eicosapentaenoic acid) এবং DHA (Docosahexaenoic acid) এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি প্রদাহ হ্রাস করে, রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটায় এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ভালো রাখে। এবং একটি সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম যৌন উত্তেজনা কর্মক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সালমন মাছ একটি ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে পরিচিত। ভিটামিন ডি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

ঝ. বাদাম ও বিভিন্ন বীজ


বাদাম   বিভিন্ন বীজের মধ্যে রয়েছে বাদাম, পেস্তা, কিসমিস, আখরোট ইত্যাদি। বাদামের আর্জেনিন শুক্রানু তৈরিতে সাহায্য করে।সেক্সে বৃদ্ধির জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার হলো আলমন্ড। এতে ভিটামিন , ভিটামিন বি৬, জিঙ্ক, এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজ রয়েছে। এই পুষ্টিগুলি হরমোন উৎপাদন এবং সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।এই বাদাম হলো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড-এর উৎস, যা শরীরে সঠিক রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি যৌন উত্তেজনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বাদাম হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ফাইবারের সমন্বয়ের কারণে শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়, যা যৌন শক্তির জন্য ভালো।

ঞ. আদা


আদা হলো একটি খাদ্য যা সেক্সুয়াল শক্তি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য উপকারী হতে পারে। এটি শরীরকে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং গবেষণা অনুযায়ী আদা টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া, আদা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ধারণ করে, যেমন- জিনজারোল, যা কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানো সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হোল্ডার এবং যৌন ফাংশনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ট. ডিম

ডিম একটি খাবার যা সেদ্ধ করা অথবা ভাজা হতে পারে, একভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডিমে অধিক পরিমাণে ভিটামিন বি- এবং বি- থাকে, যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিনের সকালে একটি ডিম নেয়া মানে আপনি আপনার শরীরে শক্তি যোগাবেন এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবেন।

ঠ. কলিজা


কলিজা পুরুষের যৌন জীবনে একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে প্রভাব ফেলতে পারে। এটে অত্যন্ত পরিমাণে জিঙ্ক থাকে, যা শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।যদি শরীরে যথারীতি জিঙ্ক না থাকে, তবে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন প্রসারিত হতে পারে না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে প্রসারিত হওয়া একটি হরমোন টেস্টোস্টেরন তৈরি করতে সাহায্য করে। জিঙ্কের কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হতে সাহায্য করে, এটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত করতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও একটি প্রয়োজনীয় হরমোন যৌনতা জীবনের জন্য। তাই মাঝে মাঝে কলিজা খাওয়া উচিৎ।

ড. দুধ

দুধ যৌন শক্তি এবং যৌবন বৃদ্ধি করতে একটি অমূল্য খাদ্য হিসেবে প্রধান ভূমিকা পালন করে। বিশেষভাবে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি।) থেকে উল্লেখ হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (.) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ অত্যন্ত প্রিয় ছিল। এটির রহস্য হলো দুধ যে, রতিশক্তি সৃষ্টি করে, দেহের শুস্কতা দূর করে এবং খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য উৎপন্ন করে, চেহারা লাল বর্ণকরে, অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।

ঢ. রঙিন ফলমূল এবং শাক সবজি


যৌবন ধরে রাখতে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন রঙিন ফলমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব ফলমূলের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর, কমলালেবু, তরমুজ, আপেল, খেজুর।

পালং শাক এবং অন্যান্য সবজি গুলি অধিক মেগনেসিয়াম ধারণ করে, যা শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। জাপানের গবেষকরা অনুসারে, মেগনেসিয়ামের পূর্ণতা শরীরে রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি যৌন উদ্দীপনাও বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। পালং শাক এবং আরও অনেক বিভিন্ন সবজি যেমন ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে ফলেট, ভিটামিন বি, এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই উপাদানগুলি সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

২। নিয়মিত ব্যায়াম


নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃদয়ের সমস্যা হয়না এবং শরীর, স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদয়ের সমস্যা ডায়াবেটিস নার্ভে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এটির ফলে লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না এবং লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নতি হয়, মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে ভালো রাখার সাহায্য হয়।

০৩। চাপ কমিয়ে ফেলুন


মানসিক চাপ সেক্সুয়াল পারফরম্যান্স কমিয়ে ফেলতে পারে। যদি কোন পুরুষ তার সেক্সুয়াল পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তার উত্তেজনা কম হতে পারে এবং সেক্সুয়াল পারফরম্যান্সও প্রভাবিত হতে পারে। চাপ বা উদ্বিগ্ন কমানোর জন্য কিছু উপায় হতে পারে যেমন:

Ø  সেক্সুয়াল পারফরম্যান্সের চেয়ে ফোরপ্লেতে বেশি মনোযোগী হওয়া।

Ø  নিয়মিত ব্যায়াম করা।

Ø  পর্যাপ্ত ঘুমানো।

Ø  নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো রাখা।

৪। টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির রেসিপি

এই রেসিপি তৈরি করতে চারটি উপাদান প্রয়োজন।

Ø  দেশি মুরগির ডিমের চারটি কাঁচা কসম। সাদা অংশ অপসারণ করতে হবে।

Ø  খাঁটি মধু।

Ø  খাঁটি ঘি।

Ø  অর্গানিক কোকোনাট অয়েল। পিং সলটো অথবা পিং সলটো অ্যাড করতে পারেন।

এই সব উপাদানগুলি অর্গানিক হতে হবে। এগুলি একটি গ্লাসে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে।

এই মিশ্রণটি শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে, এবং এটির ফলে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়।

৫। আদর্শ পারস্পরিক সম্পর্ক

সাংগঠনিক সম্পর্কও যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে সেই সম্পর্কের প্রভাব যৌন জীবনেও প্রকাশ পায়। অন্যদিকে, নিজেদের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক থাকলে যৌন জীবনও সুখের হয় না। তাই সব সময় নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

৬। স্ত্রীর সাথে স্বচ্ছতায় আলোচনা করুন

যদি কোন পুরুষের সেক্সুয়াল পারফরম্যান্স কম থাকে, তবে তার উচিত তার স্ত্রীর সাথে স্বচ্ছতায় আলোচনা করা। আর স্ত্রীর উচিত তার স্বামীকে বোঝানো, সাহস দেওয়া, মনোবল উত্তেজনা জাগানো। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে এবং এর একটা পজিটিভ প্রভাব তাদের সেক্সুয়াল লাইফে পড়বে।

৭। ফ্লোরপ্লেতে সময় দিন

ফ্লোরপ্লে সময়ে কিছু পুরুষ মনে করে, সেক্স শুধুমাত্র নারীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করার মাধ্যমে হয়। এই ধারণাটি সেক্সের সীমা ধরে রাখে। লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা বা ইরেকটাইল ডিসফাংশন থাকলে এটি আসলে চিন্তার কোনো কারণ নয়। নারী সঙ্গীকে খুশি করতে লিঙ্গ ব্যবহার না করলেও সম্ভব। ফোরপ্লে মাধ্যমেও নারীকে খুশি করা সম্ভব। ফোরপ্লে হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আদর এবং ভালোবাসার মাধ্যমে ইচ্ছার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছানোর একটি পদ্ধতি। এটি সহবাসকে অত্যান্ত আনন্দময় এবং মধুর করে তোলে। ফোরপ্লে মধ্যে পড়ে চুম্বন, চুমু খাওয়া, যোনিতে ঘর্ষণ সৃষ্টি করা, স্তন যুগলে হাত দিয়ে আদর করা, শরীরের বিশেষ অংশে আলতোভাবে সুড়সুড়ি দেওয়া এবং সঙ্গিনীর সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশে হাত বুলানো - এই সবই ফোরপ্লে নামে পরিচিত।

মেয়েরা ফোরপ্লেকে অনেকটাই পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে একটি মার্কিন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ৪০% মেয়েরা যৌন সম্বন্ধের সময় তাদের যোনিতে ঘর্ষণ করা পছন্দ করে।

৮। মিলনের সময় বিরতি নিন

যাদের দীর্ঘ সময় যৌন মিলন করতে সক্ষম নয়, তাদের জন্য যৌন মিলনের সময়ে মাঝেমধ্যে বিরতি নেতে উপকারী হতে পারে। যখন মনে হবে যে বীর্য বের হতে পারে, তখনই যোনি থেকে লিঙ্গ বের করুন। কিছুক্ষণ ফোরপ্লেতে সময় দিন এবং পুনরায় শুরু করুন। এই পদ্ধতি নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে যাদের দ্রুত বীর্যপাত হয় তারা দীর্ঘক্ষণ সহবাস করতে সক্ষম হতে পারে। এই পদ্ধতি বেশ কিছুদিন অনুসরণ করলে শরীর অত্যন্ত উন্নত হতে পারে।

৯। প্রাকৃতিক চিকিৎসা

কিছু প্রাকৃতিক চিকিৎসা যৌন সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে, সাধারিত ভাবে লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা সম্পর্কে। ২০১৭ সালের গবেষণাতে দেখা গেছে যে, ইক্ষু গন্ধার বীজ এই সমস্যার সমাধানে কার্যকর হতে পারে। তবে, চিকিৎসা নেওয়ার আগে একজন ভালো প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

১০। অন্যান্য রোগের নিয়ন্ত্রণ

যৌন সমস্যা অন্যান্য কিছু রোগের সাথেও সংযোগিত হতে পারে। হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মধ্যে রয়েছে এই সংক্রান্ত সমস্যা। এসব রোগের কারণে ইরেকটাইল ডিসফাংশন দ্রুত বীর্যপাত হতে পারে। তাই যদি কেউ এসব সমস্যা অনুভব করে, তাকে এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১১। প্রয়োজনে ঔষধ ব্যবহার করুন


যৌন সমস্যা সমাধানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো ঔষধ ব্যবহার করা। যদি কেউ প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান পাতে সক্ষম না হয়, তবে তিনি একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অনেক পরিচিত হলোডের একটি ঔষধ হলো ভায়াগ্রা। এটি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধ হতে পারে যদি কেউ যদি যৌন সমস্যা সমাধান না করতে বা ব্যবহার না করতে পৌঁছান।

১২। নিজের উপর আত্নবিশ্বাস রাখুন

শেষে, নিজের উপর আত্নবিশ্বাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাস হারাতে হবে না। এটা যেন স্ত্রীকে সম্মতি দেওয়ার জন্য প্রয়াস করতে হয়। স্বামীর মানসিক স্থিতি উন্নত করতে হবে এবং তাকে উৎসাহ দিতে হবে, তার জন্য একটি সাহস প্রদান করতে হবে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post