উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অক্ষম? প্রাকৃতিক উপায়ে নীরব এই ঘাতক থেকে বাঁচতে আপনি যা যা করবেন

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অক্ষম? প্রাকৃতিক উপায়ে নীরব এই ঘাতক থেকে বাঁচতে আপনি যা যা করবেন


যখন কেউ অসুস্থ হয়, আমরা সাধারণত প্রথমেই তার রক্তচাপ বেড়ে গেল কি না তা চিন্তা করি। রক্তচাপ হল দেহের ভেতরে প্রবাহিত রক্তের চাপের মাত্রা, যা ব্লাড প্রেশার নামেও পরিচিত। ধমনীগুলিতে রক্তের চাপ বেশি থাকলে তা উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। বয়স নির্বিশেষে এই বিষয়টি নিয়মিত আকারে প্রভাবিত হতে পারে না, যেকোনো বয়সের মানুষই এর শিকার হতে পারেন। অযথা খাদ্য অযথা জীবনযাপনের ফলে এটি উদ্ভাবিত হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের ফলে হার্টফেল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক বা মূলত ব্লাড প্রেশার জনিত অসুস্থতা হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ কী এবং কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপ

হৃদপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ যখন অত্যন্ত বেশি হয়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই রক্তচাপ রেকর্ড করা হয় দুটি মানের মাধ্যমে - যেটার সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টোলিক প্রেশার, আর যেটার সংখ্যা কম সেটাকে ডায়াস্টলিক প্রেশার। প্রতিটি হৃদস্পন্দনে একবার সিস্টোলিক প্রেশার এবং একবার ডায়াস্টলিক প্রেশার হয়। সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের স্বাভাবিক রক্তচাপ হল ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। যদিও কেউ তার ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়ে বেশি হয়, তখন তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে বোঝা যায়। আর যদি রক্তচাপ ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তার লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা যায়। তবে বয়স নির্বিশেষে রক্তচাপ খানিকটা বেশি বা কম হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের প্রধান প্রধান কারণ সমূহ

উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণগুলি হলো নিম্নলিখিত:

1.কিডনি রোগ: যেকোনো ধরনের কিডনি রোগ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উচ্চ রক্তচাপ অনুভব করে থাকে।

2.ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস বা  রক্তে উচ্চ শর্করা উচ্চ রক্তচাপের একটি প্রধান কারণ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

3. চর্বি সমৃদ্ধ খাবার : মশলা এবং চর্বি সমৃদ্ধ খাবার  উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এটি অল্প বয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে।

4.পরিবারিক ইতিহাস: উচ্চ রক্তচাপ এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও ঘটতে পারে যাদের পরিবারের সদস্যের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে ভোগার ইতিহাস আছে।

5.বয়স: সাধারণত মানুষের বয়স ৪০ বছরের পর থেকে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

6.অতিরিক্ত লবণ গ্র্রহন করা: প্রতিদিন অতিরিক্ত লবণ খেলে, খাবারে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা খাবারে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ এবং অন্যান্য অতিরিক্ত লবন সহ্য করা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

7.অল্প শারীরিক পরিশ্রম: পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং ব্যায়াম না করা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

8.ধূমপান, মদ্যপান, অথবা অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত খাদ্য/পানীয় অধিক খেলে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

9. দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

10.শারীরিক মানসিক চাপ থাকলে রক্তচাপ উচ্চ হতে পারে।

11. অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি উচ্চ রক্তচাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে।

রক্তচাপ পরিমাপে কি কি টেস্ট করবেন

আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ হয়, তবে আপনার চিকিৎসক আপনাকে নিম্নলিখিত পরীক্ষা করার সুপারিশ করতে পারেন:

1.অ্যাম্বুলেটরি পর্যবেক্ষণ: একটি দীর্ঘ রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা, যা প্রতিদিন আপনার রক্তচাপ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

2.ল্যাব পরীক্ষা: 


রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করা যেতে পারে যা রক্তচাপের কারণ বা সমস্যার সনাক্ত করতে সাহায্য করে।

3.ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি বা ইকেজি):

হৃদয়ের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত একটি পরীক্ষা।

4.ইকোকার্ডিওগ্রাম: হৃদয়ের বিস্তৃত চিত্র তৈরি করতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ উপসর্গগুলি:

1.প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানো

2.ঘাড় ব্যথা

3.বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

4.অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা

5.রাতে ভালো ঘুম না হওয়া

6.মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া

7.অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা

8.উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া

9.দুর্বল এবং ক্লান্ত বোধ করা

10.চরম ক্ষেত্রে, নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে

উচ্চ রক্তচাপের কারণে শারীরিক যেসব রোগের ঝুঁকি

উচ্চ রক্তচাপের ফলে শারীরিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে হার্ট, ব্রেন এবং অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রক্তের সরবরাহ ঠিকমতো না হলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, পায়ে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় এওর্টা বা ধমনীর রোগ  এবং ডিমেনশিয়াও হতে পারে।

1.হৃদরোগ বা হার্ট ডিজিজ

উচ্চ রক্তচাপে হৃদরোগের ঝুঁকি বা হার্ট ডিজিজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তচাপ দেহের ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এটে হৃত্পিণ্ডে রক্ত এবং রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ প্রভাবিত হয়।

2.ব্রেন স্ট্রোক

উচ্চ রক্তচাপের কারণে আমাদের মস্তিস্কে রক্ত এবং রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যেতে পারে। এতে ব্রেনে ব্লকেজ বা ধমনী বার্স্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যা ব্রেন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। ব্রেন স্ট্রোকের ফলে মস্তিস্ক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অক্ষমতা দেখা যায়, যেমন:

a.কথা না বলতে পারা।

b.হাঁটা চলায় অসুবিধা।

c.স্বাভাবিক কার্যকলাপে অসুবিধা।

d.শেষে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ কমানোর শক্তশালী উপায়

1.পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান:পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হতে পারে। কলা, ডাবের পানি, টমেটো এবং অন্যান্য খাবারে পটাশিয়াম পরিমাণ বেশী থাকে। আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো, প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে এমন খাবার খেলেও রক্তচাপ কমতে পারে। এর কারণ হলো, পটাশিয়াম লবণের প্রভাব কমায় এবং এটি রক্তনালীর প্রাচীরকে টানটান প্রসারণ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটাও রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। তাই হাইপারটেনশনে ভুগলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে চেষ্টা করুন, যেমন- বিনস, পালংশাক, কিসমিস কলা।

2.লবণের ব্যবহার কমান: খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। লবণের সোডিয়াম রক্তের জলীয় অংশ বাড়ায়, যা রক্তের আয়তন চাপ বৃদ্ধি করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, খাবারে লবণের পরিমাণ কমালে কেবল রক্তচাপ কমে না, বরং হার্ট রক্তনালী সংশ্লিষ্ট রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের জন্য মাত্র ৫০০ মিলিগ্রাম লবণ প্রয়োজন।  যাদের ব্লাড প্রেশারের  সমস্যা হচ্ছে, তাদের খাবারে অতিরিক্ত লবণ অপশক্তিশীল হতে পারে। তাদের খাদ্যতালিকায় গোলাপী লবণ ব্যবহার করতে হবে।

3.ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করুন:  


ধূমপানে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়ায়, যা ধমনী এবং শিরার বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়, যেমন হৃদরোগ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের দুটি প্রধান কারণ। এইভাবে, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং ধূমপান হ্রাস করাও স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধূমপান হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিময় বিষয় হিসেবে পরিচিত। গবেষকরা ধূমপানের রক্তচাপের সাথে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন এবং তাদের মতে, ধূমপানের সময় নিকোটিন সিগারেটে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ধূমপানের সময় ধূমপায়ীর শ্বাসদুশ্চিন্তা বাড়তে পারে এবং চর্বিময় পদার্থের প্রতিবন্ধকতা গঠনের ঝুঁকি বাড়ে যা রক্তচাপের বৃদ্ধি করতে পারে।

4.নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করুন: 


নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক পরিশ্রম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হাঁটা, সাঁতার কাটা, লাফানো ইত্যাদি সহজ শরীরচর্চা করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আপনি দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।

5.মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা কম করা: রাগ, উত্তেজনা, ভীতি বা মানসিক চাপের পরিস্থিতির সময়ে রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘসময়ে ধরে মানসিক চাপ অব্যাহত থাকলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। মানসিক চাপ এবং রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারলে তা মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যম  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বিকল্প হতে পারে।

6.খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা: মাংস, মাখন, বা তেলে ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ উচ্চ হতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মূল্যবান - বিভিন্ন খাবারের সমন্বয়ে একটি ব্যালেন্সড ডাইট অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একজাতীয় খাবারের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ভারসাম্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ কমাতে বিভিন্ন সব্জি, ফল, গোটা শস্য, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস ছাড়া চামড়াবিহীন মুরগির মাংস, মসুর ডাল, নন-ট্রপিক্যাল ভেজিটেবল অয়েল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

7.ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং হৃদয়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত, অধিক ওজনের মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।

8.পর্যাপ্ত জল পান: 



পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করা উচিত।

9.পর্যাপ্ত ঘুম: সঠিক ঘুম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিতভাবে প্রতিদিন কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা ঘুমাতে হচ্ছে রক্তচাপ নিয়মিত বজায় রাখার জন্য।

10.চা পান করুন: গবেষণা প্রমাণ করেছে যে,  চা পানে রক্তচাপ কমে। ২০১৭ সালে চীনে অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণা একই ফলাফল দেখেছে। রক্তচাপ কমাতে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি পান করা উচিত।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি  খেতে হবে

উচ্চ রক্তচাপে  নিম্নলিখিত খাবার  উপকারী হতে পারে:

1.টক জাতীয় ফল: 


টক জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন খনিজের সমৃদ্ধ মাত্রা পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

2.ধনে পাতা: 


ধনে পাতা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং খাবারে তা যোগ করা উচিত।

3.চিয়া তিসির বীজ: 



চিয়া তিসির বীজে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার সহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

4.ব্রকোলি: ব্রকোলির ফ্ল্যাভনোইডস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

5.গাজর: গাজরে প্রোটিন ফাইবার রয়েছে যা রক্তনালি রিল্যাক্স করে এবং রক্তচাপ কমায়।

6.পেস্তা বাদাম: 


পেস্তা বাদামে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদান যা হৃদপিণ্ড ভালো রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

7.কুমড়ার বীজ: কুমড়ার বীজে প্রোটিন ফাইবার রয়েছে যা ব্লাড প্রেশার কমায়।

8.টমেটো:


টমেটোতে পটাশিয়াম এবং ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন রয়েছে, যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুব ভালো। খাদ্যতালিকায় টমেটো যোগ করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

9.ফ্যাটি ফিশ: মাছের চর্বি দেহের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, স্যালমন মাছ এবং ফ্যাটি ফিশ  রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা হৃদপিণ্ডের জন্যও  উপকারী।

উচ্চ রক্তচাপের আঘুনিক চিকিৎসা

উচ্চ রক্তচাপ সনাক্ত হবার পর সাধারনত চিকিৎসক রোগীর বয়স অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা পর্যালোচনা করে যথাযথ ওষুধ খাবার নির্দেশ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। কখনোই নিজে থেকে ওষুধের ধরন বা মাত্রা কমানো বা বাড়ানো উচিত নয়। এতে শরীরে বিরূপ প্রভাব পরতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম হলো :

1.লিসিনোপ্রিল

2.বিভিন্ন ধরণের ডাই-ইউরেটিক

3.-সি- ইনহিবিটর

4.বিটা ব্লকার

5.আল্ফা ব্লকার

উপসংহার

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে তা সংশোধনের জন্য নিয়মিতভাবে রক্তচাপ মাপা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা উচিত এবং শরীরের চর্চা স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিমাণে দৃঢ় নিশ্চয়তা রাখতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন এবং সেরা কার্ডিওলজি হাসপাতালে সঠিক নির্দেশনা নিন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post