প্যানিক ডিজঅর্ডার: চিকিৎসা, মুক্তির উপায়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, এবং মৃত্যুর ঝুঁকি

 

প্যানিক ডিজঅর্ডার: চিকিৎসা, মুক্তির উপায়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, এবং মৃত্যুর ঝুঁকি

দ্রুত ঘুমিয়ে পড়লে কেউ মধ্যরাতে প্যানিক অ্যাটাক বা অনুরূপ পরিস্থিতিতে ভয় পেতে পারে। যদিও আতঙ্কিত আক্রমণের প্রকৃত কারণগুলি অজানা থাকতে পারে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে অতীতের ট্রমার স্মৃতিগুলিকে ট্রিগার করতে পারে যা প্যানিক অ্যাটাক বা এর মতো ব্যাধি সৃষ্টি করে। পোস্ট-ট্রামাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার, অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার বা সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের মধ্যে প্যানিক অ্যাটাক সাধারণ। প্রাথমিক চিকিত্সা না করা হলে এটি প্যানিক ডিসঅর্ডার হতে পারে, যা প্যানিক অ্যাটাক এবং চাপের কারণে আরও কঠিন হতে পারে। গবেষকদের তথ্য অনুসারে, ভারতে প্রতি 100,000 জনের মধ্যে প্রায় 10 জনের প্যানিক অ্যাটাক হয়। কানাডিয়ান মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, কানাডিয়ান প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ  বছরে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হতে পারে।

প্যানিক ডিজঅর্ডার কি

প্যানিক ডিসঅর্ডার একটি গম্ভীর মানসিক সমস্যা, যেখানে হঠাৎ করে ব্যক্তি বুক ধড়ফড় করে, হাত-পা অবশ লাগে, নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এবং মনে হয় যে তিনি এখনই মারা যাবেন।এই রোগটিকে প্যানিক ডিসঅর্ডার বলে।

প্যানিক ডিজঅর্ডার এর লক্ষণ

প্যানিক ডিসঅর্ডারের লক্ষণ অনেকগুলো, যেমনঃ

  • ব্যক্তির মধ্যে অত্যন্ত ভীতি মৃত্যুভীতি অনুভূতি হয়।
  • মানসিক চাপ অস্থিরতা অনুভূত হতে পারে।
  • হাত-পা অবশ লাগার অনুভূতি হয়।
  • ঘাম হওয়া এবং মাথা ঘুরে যাওয়া অনুভূতি হতে পারে।
  • পেটে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • নিঃশ্বাস নিতে অসমর্থ হওয়া এবং নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া সম্পর্কে অনুভূতি হতে পারে।
  • হটফ্লাশ হওয়া সম্পর্কে অনুভূতি হতে পারে।
  • হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগা অনুভূতি হতে পারে।
  • আঙুলের ডগা ঝিমঝিম করা অনুভূতি হতে পারে।
  • মাথা হালকা হওয়া বা অচেতন হওয়ার অনুভূতি হতে পারে।
  • আলো আরও উজ্জ্বল তীব্রতর মনে হতে পারে।
  • পায়ে কাঁপুনি টালমাটাল ভাব হতে পারে।
  • অশ্রুসিক্ত হওয়া এবং নিঃশ্বাসের প্রয়াসে অসফল হতে পারে।
  • আটকে গেছে বা অনিশ্চয়তা অনুভূতি হতে পারে।

প্যানিক ডিজঅর্ডার কেন হয়?

প্যানিক অ্যাটাকের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে, বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন রিস্ক ফ্যাক্টরের কথা বলা হয়েছে এবং মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্রে একটি প্রদত্ত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, বারবার প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু কারণ হলো

  • মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থের ঘাটতি: মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক পদার্থের ঘাটতি ভারসাম্য নষ্ট হলে উদ্বেগ অথবা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
  • মনের অবস্থা: ব্যক্তির শৈশবের স্মৃতি, প্যারেন্টিং, ভীতি বা সমাজের মধ্যে তার প্রতিবেদনের উপর ভেতরে উদ্বিগ্নতা তৈরি হতে পারে, যা প্যানিক অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
  • উত্তেজনাপন্ন পরিবেশ: কেউ যদি প্রিয়জনের মৃত্যু, অনিশ্চয়তা, বন্ধুত্ব বা সম্পর্কের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে মনে মনে উত্তেজিত হয়, তাহলে তার উপর প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
  • জীবনে ট্রমাটিক ঘটনা: বড় দুর্ঘটনা, মৃত্যু, নিপীড়ন ইত্যাদির মতো জীবনে ঘটা ট্রমাটিক ঘটনা যদি থাকে, তাহলে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
  • মাদক ব্যবহার: কখনো মাদক ব্যবহার যেমন ক্যাফেইন, স্টিমুলেটিং মাদক গ্রহণ করলে তা প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: পরীক্ষা, বন্ধুত্ব বা সম্পর্কের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে মানসিক চাপ যদি থাকে, তাহলে  প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।
  • অন্যান্য কারণ: প্রিয়জনের মৃত্যু, নির্যাতন, সহিংস অভিজ্ঞতা, এবং অর্থকষ্ট ইত্যাদি

প্যানিক অ্যাটাক: সংশ্লিষ্ট জটিলতা গুলি

  1. মানসিক জটিলতা: প্যানিক অ্যাটাকের পর ব্যক্তির মানসিক অবস্থা সহনশীলতা হারিয়ে যেতে পারে, যেটি মনে হতে পারে আরো জটিল সমস্যার কারণ।
  2. সামাজিক জটিলতা: অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাক প্রাকৃতিকভাবে ঘটলেও, সামাজিক অবস্থার চাপ চার্চার প্রবল প্রভাব হতে পারে। এটি নিজের আত্মবিশ্বাস সাম্প্রদায়িক সম্পর্কে অনিশ্চিতি সৃষ্টি করতে পারে।
  3. পরামর্শ এবং সাপোর্ট সমস্যা: প্যানিক অ্যাটাকের পরে পরামর্শ সাপোর্ট অভাবে থাকলে জটিলতা বাড়তে পারে। যদি ব্যক্তি উপযুক্ত সাহায্য এবং সমর্থন পান না তাহলে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
  4. জীবনযাপনের পরিবর্তন: প্যানিক অ্যাটাকের পর ব্যক্তির জীবনযাপনে পরিবর্তন হতে পারে, যা অনিশ্চিতি এবং জটিলতা তৈরি করতে পারে।
  5. মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা: কিছু ব্যক্তি তাদের প্যানিক অ্যাটাকের পর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও উপগ্রহ খুঁজে পেতে পারে, যা জটিলতা তৈরি করতে পারে।

প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা

প্যানিক ডিসঅর্ডারের চিকিত্সা সাধারণত প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের নির্দেশনামূলক।চিকিৎসক প্যানিক ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ঔষধের সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া সম্পর্কে চিন্তা করতে পারেন।প্যানিক ডিজঅর্ডারের চিকিৎসা করার জন্য ওষুধ, সাইকোথেরাপি এবং এই দুটির সমন্বয়ে এর চিকিৎসার বিকল্প আছে।এই রোগের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক অধীনে নির্ধারিত কিছু ঔষধ রয়েছে, যা নিম্নলিখিত হতে পারে:

1.এন্টিডিপ্রেসেন্ট: এন্টিডিপ্রেসেন্ট প্যানিক ডিসঅর্ডারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এগুলি মানসিক ব্যাধির লক্ষণ সামান্য করতে সাহায্য করতে পারে এবং প্যানিক অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

2.বেঞ্জোডিয়াজেপিন: এটি একটি শান্তি এবং অবস্থানুবাদক ঔষধ হিসেবে কাজ করে এবং প্যানিক অ্যাটাকের সামগ্রিক তাণ্ডব হ্রাস করতে পারে।

3.বিহার্বিয়াল এবং কগনিটিভ বিহার্বিয়াল থেরাপি (সি বি টি): এই থেরাপির মাধ্যমে রোগীদের প্যানিক অ্যাটাকের কারণ সম্পর্কে অধিক বোঝা যায় এবং তাদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

4.সাইকোথেরাপি: 


সাইকোথেরাপি একটি ধরণের থেরাপি যা বাক্যের মাধ্যমে বা মানসিক ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি নিয়ে আলোচনা করে। চিকিৎসক সম্ভাব্য বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করেন এবং কাউন্সিলিং সেশনের মাধ্যমে আপনাকে সেগুলি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করেন। যে পরিস্থিতিগুলি প্যানিক অ্যাটাক সৃষ্টি করে, এই কাউন্সিলিং আপনাকে সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রতিক্রিয়া করার প্রশিক্ষণ দেয়।

5.উদ্বেগ বিরোধী ওষুধ:প্যানিক অ্যাটাক চিকিৎসা প্রতিরোধের জন্য ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি সুপারিশ করা ওষুধ হলো বেনজোডায়াজেপিন। চিকিৎসার সময়কাল ডিজঅর্ডারের তীব্রতা উপর নির্ভর করে এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া তা উপর নির্ভর করে।

প্যানিক ডিজঅর্ডারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

প্যানিক ডিজঅর্ডারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সাধারণত রোগীদের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের চিকিৎসায় নেওয়া ঔষধগুলি সাধারণত প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণগুলি নির্বাহী করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে, এই চিকিৎসার ফলে স্থায়ী রোগ চিকিৎসা বা প্রতিরোধ বা প্রতিষ্ঠানে সাধারণত প্রত্যাশা করা উচিত নয়।কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উদাহরণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

1.আর্সেনিক অ্যালবাম: 


প্যানিক অ্যাটাকের সামান্য হতে সাহায্য করতে পারে, যেহেতু এটি সামান্য পানিকের লক্ষণগুলি উন্নত করতে পারে।

2.কালিকারব: এটি মানসিক মতিকে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

3.পাসিফ্লোরা ম্যারসেনালিস: 


এটি বিরক্তি এবং প্রতিস্থাপন মন্ত্রাদি বেশী হতে সাহায্য করতে পারে।

4.লাচেসিস: 


এটি প্রতিবাদ এবং মানসিক চেষ্টা সম্পর্কে সাহায্য করতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক এবং প্যানিক অ্যাটাক: তাদের মধ্যে পার্থক্য কি?

হার্ট অ্যাটাক এবং প্যানিক অ্যাটাক দুটি পার্থক্যপূর্ণ আক্রান্তের অবস্থান এবং কারণের দিক থেকে বিভিন্ন।

1.আক্রান্তির কারণ:

  • হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক হৃদয়ের রক্তনালীতে অবনতির কারণে হৃদয়ের অংশের রক্তপ্রবাহের বন্ধন সংক্রান্ত একটি অবস্থা। এটি মৃত্যুবাহী হতে পারে।
  • প্যানিক অ্যাটাক: প্যানিক অ্যাটাক মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা অপ্রত্যাশিত অবস্থা বা ঘটনা উদ্বেগ বা তাড়া উত্পন্ন করে। এটি আমাদের মানসিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত।

2.দুর্বলতার ধরণ:

  • হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক হৃদয়ের মাংসপেশীর অংশের অবশেষে অস্থায়ী অবনতির ফলে উত্পন্ন হয়। এটি একটি নিখুত চিকিত্সা প্রাপ্তব্য হালকা দৃশ্যমান অবস্থা হতে পারে অন্যদিকে, এটি মৃত্যুবাহী হতে পারে।
  • প্যানিক অ্যাটাক: প্যানিক অ্যাটাকে শারীরিক অবস্থা প্রভাবিত হতে পারে, তবে এটি সাধারণত সামান্য হতে পারে এবং সাম্যে হার্ট অ্যাটাকের মত দীর্ঘদিনের জন্য স্থিতিশীল হয় না।

3.চিকিৎসা:

  • হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক চিকিৎসা চিকিৎসা হাসপাতালের ভিতরে হৃদয়ের রক্তনালীতে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য অত্যন্ত গম্ভীর তাড়াতাড়ি করা প্রয়োজন।
  • প্যানিক অ্যাটাক: প্যানিক অ্যাটাকের চিকিৎসা।

প্যানিক ডিজঅর্ডার থেকে মুক্তির উপায়

প্যানিক অ্যাটাকের সময় ধৈর্যধারণ এবং নিজের মনের নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে সেলফ হেল্প পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়াও, কিছু কাজ প্যানিক অ্যাটাকের তীব্রতা এবং সময়কে কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।প্যানিক ডিসঅর্ডার থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে, যা নিম্নলিখিত হতে পারে:

1.মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকুন

মনে জেনে নিতে গুরুত্বপূর্ণ যে প্যানিক অ্যাটাক কোনো শারীরিক রোগ নয়, এটি মানসিক রোগ। এতে মৃত্যুর কোনো আশঙ্কা নেই। সাধারণভাবে এটি কিছুক্ষণের মধ্যে নিজে ঠিক হয়ে যায়।

2.শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন


প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা জরুরী। যখন প্যানিক অ্যাটাক হয়, তখনও এই ব্যায়াম করা উচিত। এটি রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের নিজের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কে যথেষ্ট অক্সিজেন পৌঁছায়, যা প্যানিক অ্যাটাকের তীব্রতা কমিয়ে আনে।

3.মাসেল রিলাক্সেশন পদ্ধতি


প্যানিক অ্যাটাকের সময়ে মনে হয় রোগী তাঁর শরীরের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছেন। এই অবস্থায় মাংসপেশির সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে শিথিলায়ন পদ্ধতি চর্চা করলে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

4.মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করতে হবে

যখনই মনে হবে প্যানিক অ্যাটাক হতে চলেছে, উল্লিখিত কাজগুলোর পাশাপাশি নিজের মনকে অন্যদিকে ঘোরাতে হবে। আগে উল্লিখিত গ্রাউন্ডিং পদ্ধতি ছাড়াও ওই মুহূর্তে কোনো অনুপ্রেরণামূলক গান গাওয়া যেতে পারে অথবা পাশে কেউ থাকলে তার সঙ্গে জোরে জোরে কথা বলা যেতে পারে। আগের দিনের ভালো স্মৃতি মনে করা যেতে পারে, আশপাশে ঘটা ঘটনার মনোযোগ দিয়ে দেখা যেতে পারে, ফ্লোরের টাইলস পরিধান করা ইত্যাদি।

5.ধীরে ধীরে শ্বাস নিন: অনিয়মিত গভীর শ্বাস নেওয়া মধ্যে প্যানিক ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

6.মেডিটেশন ধ্যান:


মেডিটেশন ধ্যান করা শরীরের তনাব কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে এবং মানসিক শান্তি এবং সাম্য উত্থান করতে পারে।

7.নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং প্যানিক ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি মোক্ষদাতা হতে পারে।

8.প্রফেশনাল সাহায্য: প্যানিক ডিসঅর্ডার সম্পর্কে একজন মনের চিকিত্সকের সাথে কাজ করে আলোচনা করা উচিত হতে পারে, যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ পেতে সাহায্য পাওয়া যায়।

9.স্বাস্থ্যকর আহার:


প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পুষ্টির সম্পূর্ণতা নিশ্চিত করা উচিত। অতিরিক্ত ক্যাফিন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহল পরিহার করা উচিত।

10.চোখ বন্ধ করুন: কিছু মানুষের জন্য প্যানিক অ্যাটাকের সময় চোখ বন্ধ করা সাহায্যকারী হতে পারে। এটি মনের ব্যাপারে আরাম এবং শান্তি সাধারণত প্রদান করে।

11.একটি একক বস্তুর উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন: আপনি যখন প্যানিক অ্যাটাকের সময় থাকেন, তখন একটি একক বস্তুর উপর আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারেন। এটি আপনার মনের চঞ্চলতা কমাতে সাহায্য করে।

12.সময়ে সময়ে অবসাদ বা ভারবাহিত অবস্থা মেলে প্রশ্ন করুন: অবসাদ বা ভারবাহিত অবস্থা মেলে সবচেয়ে ভালো করে সাহায্য নিতে পারে একজন মনের চিকিত্সকের সাথে মিলিয়ে আলোচনা করা।

13."আরামদায়ক জায়গা" এর চিত্র করুন: প্যানিক অ্যাটাকের সময় নিজেকে একটি সুরক্ষিত সান্ত্বনাজনক জায়গার চিত্রণ করা উচিত। এটি মানসিক শান্তি সাহায্য প্রদান করতে পারে।

14.উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করুন

প্যানিক অ্যাটাক থাকা কাউকে কীভাবে সাহায্য করবেন

প্যানিক অ্যাটাকের সময়ে কোনো ব্যক্তির সাহায্যের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি করা সাহায্যকর হতে পারে:

1.পর্যবেক্ষণ এবং সনাক্ত করুন: সতর্কতার সাথে প্রতিক্রিয়া দিন। প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ বুঝে আবার হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ সাথে তুলনা করুন।

2.শান্ত থাকুন: আপনি শান্ত থাকেন, তাদের জন্য একটি নিরাপদ এবং প্রতিষ্ঠিত স্থিতি প্রদান করতে পারেন। তাদের শান্তি প্রদান করলে তারা আরও সুখে মহুল হতে পারেন।

3.অনুমান করবেন না, জিজ্ঞাসা করুন: তাদের কি প্রয়োজন তা জিজ্ঞাসা করুন। তাদের আশেপাশে যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের সাহায্যের জন্য উপলব্ধ থাকুন।

4.সংক্ষেপণ সহজ ভাষায় কথা বলুন: বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করুন এবং সহজ ভাষায় কথা বলুন।

5.শ্বাস ব্যায়াম সাহায্য করুন: তাদের সাথে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিকে সাহায্য করুন যাতে তার হৃদয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে।

প্যানিক এটাক থেকে কি মৃত্যু হয়?

প্যানিক অ্যাটাক মানসিক অবস্থার একটি সমস্যা হওয়ার সাথে সাথে শারীরিক সমস্যাও হতে পারে, যেমন হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, হার্টের নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি। তবে, সাধারণত প্যানিক অ্যাটাকের মাধ্যমে নিজেকে অপ্রস্তুত অবস্থায় অনুভব করা হয়, যা সাধারণত মৃত্যুর কারণ হয় না।

তবে, প্যানিক অ্যাটাক বা অন্যান্য অবস্থাগুলির কারণে মৃত্যু হতে পারে যদি এই অবস্থা জীবনশক্তির একটি অবশ্যই অংশ হয়, উদাহরণস্বরূপ হৃদরোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করলে।

সাধারণত এই অবস্থাগুলি মৃত্যুর কারণ হয় না, তবে যদি কোনও ধরণের অসুখ বা অসুস্থতা অনুভব করা হয় বা যদি অসুস্থতা বা অসুখ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তবে তা সত্যিই জীবনবিশেষ জীবনবিশেষ স্থিতি হতে পারে।

সমগ্রমূল্যে, প্যানিক অ্যাটাক মৃত্যুর প্রায় কোনও প্রধান প্রয়োজন হিসেবে বিবেচিত হয় না। এটি সাধারণত মানসিক অবস্থার একটি অসুস্থতা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সাধারণত ভাল হয়ে যায়।

উপসংহার

কিছু সময়ে প্যানিক অ্যাটাক অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে, শারীরিক এবং মানসিক দুই ভাবেই। এটি আপনার নিত্যদিনের কার্যকলাপকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতে প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাকে এড়ানো যায়। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়ানি, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং দুর্বলতার মত উপসর্গগুলিকে নিজে থেকে দুশ্চিন্তার লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া উচিত নয়; এগুলিকে একজন ডাক্তারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা উচিত।

Post tag: প্যানিক ডিসঅর্ডারের লক্ষণ ও প্রতিকার,প্যানিক ডিসঅর্ডার,প্যানিক অ্যাটাক এবং উদ্বেগের জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post